Breaking News

৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল

৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।

৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল

প্রশ্ন ১। মুন্নির ছোট বোন ঝুমা ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি করছে। তাই দেখে মুন্নি তার মাকে জানাল যে সে গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে এ সম্পর্কে পড়েছে। ঝুমাকে সে তরল খাবার ও স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দিলো।

ক. ডায়রিয়া ও আমাশয়ে কোথায় জীবাণুর সংক্রমণ হয়?
খ. পথ্য কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. ঝুমা যে রোগে আক্রান্ত সে রোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মুন্নির পরামর্শ কতটা যৌক্তিক? মতামত প্রদান কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। ডায়রিয়া ও আমাশয়ে পরিপাকতন্ত্রে জীবাণু সংক্রমণ হয়।

খ। কোনো কোনো রোগের কারণে শরীরের নানারকম পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে কখনও কখনও বিশেষ নির্দেশনা থাকে। কোনো বিশেষ ধরনের খাদ্য গ্রহণে বিধিনিষেধও থাকতে পারে। এমনকি খাদ্যে কোনো বিশেষ পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজনও হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বা কোনো রোগে আক্রান্ত হলে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠার জন্য বা রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা হয় তাকে পথ্য বলে। যেমন- ডায়রিয়া হলে যে বিশেষ নির্দেশনা মেনে খাদ্য গ্রহণ করা হয় তাকে ডায়রিয়ার পথ্য বলে।

গ। উদ্দীপকের উদ্ধৃত অংশ পড়ে আমরা বুঝতে পারি যে, ঝুমার ডায়রিয়া হয়েছে। আমরা জানি, ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন পাতলা মল নির্গত হয়। সাথে জ্বর, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা.ও বমি থাকতে পারে। উদ্দীপকের ঝুমার ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হচ্ছিল এবং সেই সাথে বমিও হচ্ছিল। আর এটা ডায়রিয়ার প্রধান লক্ষণ।

আরও দেখুন  ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল

এছাড়া সাধারণত শিশুদের এ রোগ হয়। ঝুমাও একজন শিশু ঝুমার বোন মুন্নি তার মাকে তরল খাবার ও স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। এতে করে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, ঝুমা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। কেননা ডায়রিয়ায় পাতলা পায়খানার কারণে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়, আর এ ঘাটতি পূরণের জন্য তরল খাবার ও স্যালাইন খাওয়াতে হয়। স্যালাইন ও তরল খাবার না খেলে ডায়রিয়াজনিত কারণে ডিহাইড্রেশন হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

ঘ। মুন্নির পরামর্শ পুরোপুরি যৌক্তিক। উদ্দীপকের মুন্নির ছোট বোন ঝুমা ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি করছিল। তাই দেখে সে তার মাকে পরামর্শ দেয় যে, ঝুমাকে যেন তরল খাবার ও স্যালাইন খাওয়ানো হয়। মুন্নির এ পরামর্শটি খুবই যৌক্তিক।

আমরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পাঠে জেনেছি যে, খাবার ও পানির মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে জীবাণুর সংক্রমণের ফলে ডায়রিয়া হয়। ডায়রিয়া হলে সাধারণত পাতলা মল নির্গত হয়, পেটে ব্যথা ও জ্বর এবং বমি হতে পারে। আর বমি ও পাতলা পায়খানার কারণে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। এতে করে শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি হয়।

আর এ ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাওয়ার স্যালাইন দিতে হয়। প্রয়োজনে চালের গুঁড়ার স্যালাইন রান্না করে খাওয়াতে হয়। এতে করে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণের ঘাটতি খুব সহজেই পূরণ হয়।

স্যালাইন না খেলে ডায়রিয়াজনিত কারণে ডিহাইড্রেশন হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি যে ডায়রিয়ার রোগীর জন্য তরল খাবার ও স্যালাইন অত্যন্ত জরুরি। আর উদ্দীপকের মুন্নি ও তার বোন ঝুমার ডায়রিয়ায় তার মাকে স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল, যা খুবই যৌক্তিক পরামর্শ ছিল।

প্রশ্ন ২। রুমার গত তিন দিন থেকে ডায়রিয়া হয়েছে। তার মা- বাবা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার রুমাকে দেখে জানালেন তার মারাত্মক ডিহাইড্রেশন হয়েছে। ডাক্তার অতি দ্রুত তাকে স্যালাইন দিলেন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন।

আরও দেখুন  ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১২ অধ্যায় সৃজনশীল

ক. ডিহাইড্রেশন কী?
খ. ডায়রিয়া হলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয় কেন?
গ. রুমার ডিহাইড্রেশনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কখন শরীরে পানির চাহিদা বাড়ে বর্ণনা কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। শরীরে পানির পরিমাণ খুব কমে গেলে সেই অবস্থাকে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বলে।

খ। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানির বের হয়ে যায়। এতে শরীরের পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন হয়।

গ। রুমার ডিহাইড্রেশনের কারণ হলো ডায়রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়া। রুমার ৩ দিন ধরে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গত তিন দিনে ডায়রিয়ায় তার শরীরের অধিকাংশ পানি বের হয়ে গেছে। আর এ কারণে তার ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ পানি শুষ্কতা হয়েছে।

আমরা জানি, শরীরে পানির পরিমাণ খুব কমে গেলে সেই অবস্থাকে ডিহাইড্রেশন বলে। আর রুমার ডিহাইড্রেশন হয়েছে মূলত ডায়রিয়া থেকে। তার শরীর থেকে ডায়রিয়ায় প্রচুর পানি বেরিয়ে গেছে, কিন্তু ঘাটতি পূরণ হয়নি, তাই সে পানি শুষ্কতায় পতিত হয়েছে।

ঘ। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয়। মানুষ কয়েক সপ্তাহ খাবার না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু পানি পান না করে এক দিনের বেশি থাকতে পারে না। মানুষের দেহ ৫৫–৭৫% পানি দ্বারা গঠিত।

প্রতিদিন মল, মূত্র, ফুসফুস ও চামড়ার মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় এবং মানুষের দেহ পানি সঞ্চয় করে রাখতে পারে না। তাই প্রতিদিনই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হয়। প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায় সেই পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। খাবার থেকে প্রায় ১ লিটার পানি পাওয়া যায় এবং বাকিটা প্রতিদিনের গ্রহণকৃত তরল ও পানীয় থেকে পেতে হবে। গড়ে একজন মানুষের প্রতিদিন ২.৫-৩ লিটার পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়। একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস পানির প্রয়োজন হয়। শরীরে পানির চাহিদা নিম্নলিখিত অবস্থায় বেড়ে যায়—

আরও দেখুন  ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৮ম অধ্যায় সৃজনশীল

১. খুব বেশি গরম আবহাওয়ার কারণে অনেক ঘাম হলে।
২. জ্বর হলে।
৩. ডায়রিয়া হলে ও বমি হলে।
৪. অনেক বেশি পরিশ্রম করলে।
৫. শরীর বৃত্তীয় খেলাধুলা করলে বা ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করলে।
৬. খাবারে আঁশজাতীয় খাদ্য বেশি থাকেল ।
৭. স্তন্যদাত্রী মা সন্তানকে দুধ পান করলে।
৮. যাঁরা উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা উড়োজাহাজে ভ্রমণের জন্য প্রায় ১.৫ লিটার পানি বের হয়ে যায় অর্থাৎ পানির চাহিদা বাড়ে।
৯. বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের কারণেও পানির চাহিদা বাড়ে ।

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরণের আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

About মেরাজুল ইসলাম

শিক্ষা মেলা একটি শিক্ষা মূলক ওয়েবসাইট। এখানে নিন্ম মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ সকল শ্রেণির সাজেশন, প্রশ্নোত্তর ও আর্টিকেল শেয়ার করা হয়।

Check Also

৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৯ম অধ্যায়

৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল

৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *