আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আপনি যদি লোক-লোকান্তর কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর খুজে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে লোক-লোকান্তর কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
লোক-লোকান্তর কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. কবি আল মাহমুদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ।
প্রশ্ন-২. কবি আল মাহমুদ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কবি আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৩. কবি আল মাহমুদের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: কবি আল মাহমুদের প্রকৃত নাম মির আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।
প্রশ্ন-৪. কবি আল মাহমুদের পিতার নাম কী?
উত্তর: কবি আল মাহমুদের পিতার নাম আব্দুর রব মির।
প্রশ্ন-৫. কবি আল মাহমুদের মাতার নাম কী?
উত্তর: কবি আল মাহমুদের মাতার নাম রওশন আরা মির।
প্রশ্ন-৬. কবি আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেন?
উত্তর: কবি আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
প্রশ্ন-৭. আল মাহমুদ দীর্ঘদিন কোন পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন?
উত্তর: আল মাহমুদ দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
প্রশ্ন-৮. আল মাহমুদ দৈনিক গণকণ্ঠ’ ও ‘দৈনিক কর্ণফুলী’ পত্রিকার কোন পদে নিয়োজিত ছিলেন?
উত্তর: আল মাহমুদ ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ ও ‘দৈনিক কর্ণফুলী’ পত্রিকার সম্পাদক পদে নিয়োজিত ছিলেন।
প্রশ্ন-৯. কবি আল মাহমুদ কোন পদে থাকা অবস্থায় শিল্পকলা একাডেমি থেকে অবসর নেন?
উত্তর: কবি আল মাহমুদ শিল্পকলা একাডেমি থেকে পরিচালক পদে থাকা অবস্থায় অবসর নেন।
প্রশ্ন-১০. ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা আল মাহমুদ।
প্রশ্ন-১১. ‘পানকৌড়ির রক্ত’ কবি আল মাহমুদের কোন জাতীয় গ্রন্থ?
উত্তর: ‘পানকৌড়ির রক্ত’ কবি আল মাহমুদের ছোটগল্প গ্রন্থ।
প্রশ্ন-১২. ‘কবি ও কোলাহল’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘কবি ও কোলাহল’ গ্রন্থের রচয়িতা আল মাহমুদ।
প্রশ্ন-১৩. ‘আগুনের মেয়ে’ উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘আগুনের মেয়ে’ উপন্যাসটির রচয়িতা আল মাহমুদ।
প্রশ্ন-১৪. ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা আল মাহমুদ।
প্রশ্ন-১৫. ‘কালের কলস’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘কালের কলস’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা আল মাহমুদ।
প্রশ্ন-১৬. ‘গন্ধবণিক’ আল মাহমুদের কোন জাতীয় রচনা?
উত্তর: ‘গন্ধবণিক’ আল মাহমুদের ছোটগল্প জাতীয় রচনা।
প্রশ্ন-১৭. আল-মাহমুদের শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: আল-মাহমুদের শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থের নাম ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’।
প্রশ্ন-১৮. কবি তাঁর চেতনাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: কবি তাঁর চেতনাকে সত্যিকার সাদা পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন-১৯. কোথায় বনচারী বাতাসের দোলা দেখা যায়?
উত্তর: মাথার ওপরে-নিচে বনচারী বাতাসের দোলা দেখা যায়।
প্রশ্ন-২০. সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি হয়ে আছে কার ঠোঁট?
উত্তর: সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি হয়ে আছে চেতনা পাখির ঠোঁট।
প্রশ্ন-২১. চেতনার পাখির তন্ত্রে মন্ত্রে কী ভরে আছে?
উত্তর: চেতনার পাখির তন্ত্রে মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল।
প্রশ্ন-২২, কখন কবির মনে হয় যে সমস্ত বাঁধুনি ছিড়ে যাবে?
উত্তর: যখন চেতনার মণি উজ্জ্বল হয় তখন কবির মনে হয় সমস্ত বাঁধুনি ছিড়ে যাবে ।
প্রশ্ন-২৩. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কোথায় সমাজ, সংসার, ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় লোকালয়ে সমাজ, সংসার, ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে ।
প্রশ্ন-২৪. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কীসের জয় হয়েছে?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবিতার জয় হয়েছে।
প্রশ্ন-২৫. পাখিতুল্য কবির সত্তায় কী বিরাজমান?
উত্তর: পাখিতুল্য কবির সত্তায় সুন্দর ও রহস্যময়তা বিরাজমান।
প্রশ্ন-২৬. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির সৃষ্টির প্রেরণা কী?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির সৃষ্টির প্রেরণা চিরায়ত গ্রামবাংলা।
প্রশ্ন-২৭. কবি আল মাহমুদ কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন?
উত্তর: কবি আল মাহমুদ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন।
প্রশ্ন-২৮. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবি শব্দ দিয়ে কী গড়ে তোলেন?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবি শব্দ দিয়ে শব্দসৌধ গড়ে তোলেন।
প্রশ্ন-২৯. কবি কাকে সাদা রঙের পাখি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর: কবি নিজের চেতনাকে সাদা রঙের পাখি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ৷
প্রশ্ন-৩০. কবি তাঁর চেতনা দ্বারা কোথায় প্রবেশ করেছেন?
উত্তর: কবি তাঁর চেতনা দ্বারা সবুজ অরণ্যে প্রবেশ করেছেন।
প্রশ্ন-৩১. সবুজ অরণ্যে কীসের তালে বন্য পানলতারা দুলছিল?
উত্তর: সবুজ অরণ্যে বনচারী বাতাসের তালে বন্য পানলতারা দুলছিল।
প্রশ্ন-৩৫. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির চেতনারূপ পাখি কীসের ডালে বসে আছে?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কবির চেতনারূপ পাখি সবুজ অরণ্যে এক চন্দনের ডালে বসে আছে।
🔆🔆 আরও দেখুন: সমাস চেনার সহজ উপায়
প্রশ্ন-৩২. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় উল্লেখিত রংগুলো কী কী?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় উল্লেখিত রংগুলো হলো— সবুজ, লাল ও কাটা সুপারির রং।
প্রশ্ন-৩৩. লোক থেকে লোকান্তরে কে স্তব্ধ হয়ে আছেন?
উত্তর: লোক থেকে লোকান্তরে কবি স্তব্ধ হয়ে আছেন।
প্রশ্ন-৩৪. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় উল্লেখিত পাখির নখ দেখতে কেমন? উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় উল্লেখিত পাখির নখ দেখতে তীব্র লাল।
প্রশ্ন-৩৬. সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব কী?
উত্তর: সত্যিকারের সপ্রাণ এক অস্তিত্ব হলো কবির চেতনা।
প্রশ্ন-৩৭. আসন্ন বিজয় কীসের?
উত্তর: আসন্ন বিজয় কবিতার।
প্রশ্ন-৩৮. লোক থেকে লোকান্তরে কবি কী শুনতে পান?
উত্তর: লোক থেকে লোকান্তরে কবি আহত কবির গান শুনতে পান ।
প্রশ্ন-৩৯. বৃনচারী বাতাসের তালে কী দোলে?
উত্তর: বনচারী বাতাসের তালে বন্য পানলতা দোলে।
প্রশ্ন-৪০. কবি কোথায় চোখ রাখতে পারেন না?
উত্তর: কবি চোখ রাখতে পারেন না বন্য ঝোপের ওপরে।
প্রশ্ন-৪১. কবির চেতনার পাখিটির দুটি চোখের কোটরে কীসের রং?
উত্তর: কবির চেতনার পাখিটির দুটি চোখের কোটরে কাটা সুপারির রং।
প্রশ্ন-৪২. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতাটি ‘লোক-লোকান্তর’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্ন-৪৩. কবির মাথার ওপরে ও নিচে কী দোলে?
উত্তর: কবির মাথার ওপরে ও নিচে বন্য পানলতা দোলে।
প্রশ্ন-৪৪. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির চেতনারূপ পাখিটির রং কী?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবির চেতনারূপ পাখিটির রং সাদা।
প্রশ্ন-৪৫. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতাটি কী ধরনের কবিতা?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবির আত্মপরিচয়মূলক কবিতা।
প্রশ্ন-৪৬. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় ঠোঁট মাখামাখি হয়ে আছে কীসে?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় ঠোঁট মাখামাখি হয়ে আছে সুগন্ধ পরাগে।
প্রশ্ন-৪৭. আল মাহমুদ কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৪৮. কবির চেতনার পাখি কোথায় বসে আছে?
উত্তর: কবির চেতনার পাখিটি সবুজ অরণ্যে চন্দনের ডালে বসে আছে ।
প্রশ্ন-৪৯. ‘লোকালয়’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘লোকালয়’ শব্দের অর্থ জনপদ।
লোক-লোকান্তর কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. ‘সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি হয়ে আছে তার ঠোঁট’— পঙ্ক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সুগন্ধ পরাগে মাখামাখি হয়ে আছে তার ঠোঁট’-পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবির চেতনা-পাখির প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার চিত্র উঠে এসেছে। কবির চেতনারূপ পাখি চন্দনের ডালে বসে আছে, সারাদিনময় প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় উপকরণের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। ফলে লতাপাতা আর ফুলের পরাগে তার ঠোঁট মাখামাখি হয়ে থাকে। এ চিত্রকল্প দ্বারা কবির প্রকৃতি অনুভবের চিত্রই প্রকাশিত।
প্রশ্ন-২. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় বাংলার রূপ কীভাবে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় গ্রামবাংলার চিরায়ত রূপ প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে ফুটে উঠেছে, যা কবির অস্তিত্ব জুড়ে বিরাজমান। গ্রামবাংলার রূপ-প্রকৃতি কবির দৃষ্টিতে কাটা সুপারির রঙের মতো। চিরায়ত বাংলার রূপ দেখে কবি মুগ্ধ। কবি যত দূর দৃষ্টি দেন তাতেই দেখতে পান বাংলার অফুরন্ত রং। বাংলার সবুজ প্রকৃতি তীব্র লাল সূর্য যেন প্রকৃতির আকাশকে মেলে দিয়েছে এক নিসর্গ অনুভূতি। ‘লোক- লোকান্তর’ কবিতায় চেতনার পাখির রূপে কবি যেন বাংলার প্রকৃতিকেই দেখতে পান।
প্রশ্ন-৩. ‘ঢাকাতে পারি না আমি’- কবি কোথায় তাকাতে পারেন না? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: চেতনার পাখির রূপে কবি তাকাতে পারেন না। কবি বাংলার অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতিকে ভালোবাসেন। এই প্রকৃতিই তাঁর কাব্য সৃষ্টির একমাত্র অবলম্বন। প্রকৃতিই কবিকে দিয়েছে কাব্যসত্তা সৃষ্টির ক্ষমতা। কিন্তু এই প্রকৃতি যখন তার সৌন্দর্য হারায় তখন কবি তাঁর ভাষা হারিয়ে ফেলেন। প্রকৃতির রং, রূপ যখন তিনি দেখতে পান না তখন চারদিকে কবি দৃষ্টি দিতে পারেন না। মূলত প্রকৃতির সৌন্দর্যই তন্ত্রে মন্ত্রে, রহস্যময়তায় ভরে দিয়েছে কবির সৃষ্টি।
প্রশ্ন-৪. ‘সংসার সমাজ ধর্ম তুচ্ছ হয়ে যাবে লোকালয়’— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রশ্নোক্ত পক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে— কাব্য ভাবনায় উত্তীর্ণ হলে কবির কাছে জাগতিক সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। কবির অস্তিত্বের স্বরূপ হলো তার কাব্যচেতনার জগৎ। সৃষ্টির প্রেরণায় কবি চিরকালই উদ্বুদ্ধ হন, উজ্জ্বল হয় তাঁর চেতনার মণি। পৃথিবীর কোনো বিধি-বিধান, কোনো নিয়মকানুন, কোন ধর্ম, কোনো সমাজ-সংস্কার বা লোকালয়ের অধীন তিনি থাকেন না। কাব্যচেতনা ছাড়া তখন কবির কাছে সবকিছু তুচ্ছ মনে হয়।
প্রশ্ন-৫. ‘চোখ যে রাখতে নারি এত বন্য ঝোপের ওপরে’ – কেন?
উত্তর: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আতিশয্যে কবি বন্য ঝোপের ওপর চোখ রাখতে পারছেন না। কবির অস্তিত্ব জুড়ে আছে চিরায়ত গ্রামবাংলার রূপ। যত দূর চোখ যায়, কেবল চোখে পড়ে বাংলার অফুরন্ত রং। তার পা সবুজ, নখ তীব্র লাল— এ যেন মাটি আর আকাশে মেলে ধরা কবির নিসর্গ উপলব্ধির অনিন্দ্য প্রকাশ। আর সেই সমবেত সৌন্দর্যের তন্ত্রে মন্ত্রে, রহস্যময়তায় ভরে উঠেছে কবির সৃষ্টি। সেই অফুরন্ত সৌন্দর্যের কারণেই তার ওপর যেন চোখ রাখা যায় না।
প্রশ্ন-৬. সাদা পাখির অবয়বে কবি কোন দিকটিকে উপস্থাপন করেছেন? ব্যাখ্যা করো?
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় সাদা পাখির অবয়বে কবি তাঁর কাব্যচেতনাকে তুলে ধরেছেন। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কাব্যসত্তার মাধুর্য ও প্রাণবন্ততাকে বোঝাতে কবি তাঁর কাব্যচেতনাকে এক সত্যিকারের সাদা পাখির প্রতীকে উপস্থাপন করেছেন। পাখিতুল্য এই কাব্যচেতনা ও কবিসত্তা সর্বদা শুভ্র-সুন্দরের আধারে বিরাজমান। প্রাণের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে, সৃষ্টির মধ্যে তার বসবাস। সেই সৃষ্টির প্রকৃত মাধুর্যকে প্রকাশ করতেই কবি তাঁর চেতনাকে সাদা পাখির অবয়বে কল্পনা করেছেন।
প্রশ্ন-৭: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবি তাঁর চেতনা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কবি এখানে চেতনা বলতে তাঁর আপন কাব্যবোধ ও কাব্যসৃজনের বিষয়টিকে বুঝিয়েছেন । ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতাটি কবির আত্মপরিচয়মূলক কবিতা। এখানে কবির চেতনারূপ পাখিটি প্রকৃতিকে ভালোবেসে তার সৌন্দর্য উপভোগে বিভোর। পাখিসহ অন্যান্য চিত্রকল্পের মালা গেঁথে কবি তাঁর চেতনাকে মূর্ত করে তুলেছেন। আপন কাব্যসৃজনের নিগূঢ় অনুভূতিকেই তিনি সাদা পাখির প্রতীকে চেতনারূপে উপস্থাপন করেছেন।
প্রশ্ন-৮. আল মাহমুদের অনন্য জগৎ রূপান্তরের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : আল মাহমুদ গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতি নিয়ে তাঁর অনন্য জগৎ, সৃষ্টি করেন। আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম কবি আল মাহমুদ; তবে যন্ত্রণাদগ্ধ শহর-জীবনকে তিনি তাঁর কবিতার উপজীব্য করেননি। বরং তিনি তার স্থলে স্নিগ্ধ-শ্যামল, প্রশান্ত গ্রাম্যজীবনকে তাঁর কবিতায় স্থান দিয়েছেন । আর এ নিয়েই কবি তাঁর অনন্য জগৎ রূপান্তর করেছেন।
প্রশ্ন-৯. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় ফুটে ওঠা নিসর্গ চেতনার পরিচয় দাও।
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতাটিতে কবির নিসর্গ চেতনার অপূর্ব প্রকাশ লক্ষ করা যায়। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবি আল মাহমুদ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন। কবিতায় কবি প্রকৃতির মাঝে পাখির বিচরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। সবুজ অরণ্যের অপরূপ বর্ণনা দিয়েছেন। সর্বোপরি কবিতাটি তিনি প্রকৃতির আবহে নির্মাণ করেছেন । যা মূলত তাঁর নিসর্গ উপলব্ধির অনন্য প্রকাশ।
প্রশ্ন-১০. ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতাকে আত্মজৈবনিক কবিতা বলার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতার কবি নিজের চেতনার কথা প্রকাশ করেছেন বলে এটিকে আত্মজৈবনিক কবিতা বলা হয়েছে। ‘লোক-লোকান্তর’ কবিতায় কবি আল মাহমুদ তাঁর আত্মচেতনার কথা প্রকাশ করেছেন । তিনি তাঁর কবিসত্তার কথা ফুটিয়ে তুলেছেন পাখির অবয়বে। সে পাখি স্বাধীন, সুন্দর ও রহস্যময়তার স্বপ্নসৌধে আসীন। কাব্যচেতনা সম্পর্কিত আত্মপোলব্ধিকে তুলে ধরায় এই কবিতাকে ‘আত্মজৈবনিক কবিতা’ বলা হয়েছে।
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরণের আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।