ইসরায়েলের চ্যাম্পিয়ন ম্যাকাবি খাইফা হাজির হলো প্রবল চ্যালেঞ্জ নিয়ে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে পুরোটা সময় পিএসজির বিরুদ্ধে লড়াই করে গেল সমানে-সমানে। কিন্তু পেরে উঠল না আক্রমণত্রয়ী লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে। অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের খরা কাটাল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল।
জারুন শিরির গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মেসির রেকর্ড গড়া গোলে সমতা ফেরায় পিএসজি। পরে আর্জেন্টাইন তারকার পাস থেকেই এমবাপের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। শেষ দিকে জালের দেখা পান নেইমারও।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা পাঁচ ম্যাচে জয়শূন্য থাকার পর জয়ের দেখা পেল পিএসজি। টানা ১০ অ্যাওয়ে ম্যাচে জাল অক্ষত রাখতে ব্যর্থ দলটি জিতল অনেক কষ্টে।
সুযোগ কম আসেনি ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা খাইফার। গোলের জন্য তারা নেয় ১৩ শট, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। চমৎকার সব সেভে সেগুলোকে জালে যেতে দেননি পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। পিএসজির ১৬ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে, এর তিনটি যায় জালে।
নিজেদের ইতিহাসে কেবল তৃতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার মঞ্চে খেলা খাইফা শুরু থেকে লড়াই করে সমান তালে। মেসি-নেইমার-এমবাপেদের ঠেকিয়ে রাখতে খেলতে থাকে বাড়তি পরিশ্রম করে।
গোলের জন্য প্রথম শট নেয় স্বাগতিকরাই। দশম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে আবু ফানির বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
পরের মিনিটে নুনো মেন্দেসের দারুণ থ্রু বলে সুবর্ণ সুযোগ আসে এমবাপের সামনে। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার শরীরেই শট নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
পঞ্চদশ মিনিটে নেইমার বল হারালে সুযোগ এসে যায় খাইফার সামনে। ফ্রানৎজি পিরতের শট মার্কিনিয়োসের গায়ে লেগে চলে যাচ্ছিল দূরের পোস্ট দিয়ে। ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান দোন্নারুম্মা।
৯ মিনিট পর আর বাঁচাতে পারেননি তিনি। মার্কো ভেরাত্তি বল হারালে পেয়ে যান ডোলেভ হাজিজিয়া। তার দুর্দান্ত ক্রসে জারুন শিরির ভলি জড়ায় জালে। কিছুই করার ছিল না দোন্নারুম্মার।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে ভুগছিল পিএসজি। বারবার বল হারাচ্ছিলেন এমবাপে। তবে ৩৭তম মিনিটে সমতা ফেরানো গোলে বড় অবদান তারই।
এমবাপেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যান মেসি। শুরুতে শট নেওয়ার কথা ভাবলেও প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। পরে পায়ের কারিকুরিতে এগিয়ে বাইলাইন থেকে চেষ্টা করেন মেসিকে খুঁজে নেওয়ার।
কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা খাইফার ফরাসি ডিফেন্ডার ডিলান বাতুবিনসিকার পায়ে লেগে যায় মেসির কাছেই। বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শটে বাকিটা সারেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী।