নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল
প্রশ্ন ১। সৌমেন সাহেব পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের বস্তুগত সম্পদ যথাযথ ব্যবহার করেন। তিনি খুব ভালো করেই জানেন গৃহের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বস্তুগত সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মানবীয় সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
ক. কয়টি উপায়ে সম্পদের উপযোগ বৃদ্ধি করা যায়?
খ. সম্পদ আয়ত্তাধীন হতে হবে কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য সৌমেন সাহেব যে সম্পদের ব্যবহার করেন তা জীবনকে সমৃদ্ধ করে- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সৌমেন সাহেব যে সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম মনে করেন, তার যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। চারটি উপায়ে সম্পদের উপযোগ বৃদ্ধি করা যায়।
খ। সম্পদের বৈশিষ্ট্য হলো.সম্পদ আয়ত্তাধীন হতে হবে। সম্পদ ব্যবহার করতে হলে তা মালিকানাধীন হতে হবে। অন্যের অর্থ নিজের খুব বেশি কাজে লাগে না। সম্পদ নিজের আয়ত্তাধীন না হলে তার ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
গ। সৌমেন সাহেব, পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে বিভিন্ন ধরনের বস্তুগত সম্পদ যেমন—অর্থ, জমি, ঘর-বাড়ি, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সুবিধা ইত্যাদি যথাযথ ব্যবহার করেন। এসব সম্পদ আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে। মানুষের জীবনে অর্থের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থ দ্বারা আমরা দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করে থাকি। এর সুষ্ঠু ব্যবহার জীবনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দান করে। আবার জমি, ঘর-বাড়ি, অলংকার ইত্যাদির বিনিময় মূল্য আছে, পরিমাপ করা যায় এবং মালিকানা হস্তান্তর করা যায়।
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সুবিধাগুলো আমাদের সামাজিক সম্পদ। যেমন—স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, বাজার, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি। এই সুযোগ সুবিধাগুলো আমাদের চাহিদা পূরণ করে এবং জীবনকে সহজ ও সমৃদ্ধ করে।
ঘ। সৌমেন সাহেব মনে করেন, গৃহের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বস্তুগত সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মানবীয় সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম— তার উক্তিটি যথার্থ। আমাদের চাহিদা অসীম। এই অসীম চাহিদাকে সীমিত সম্পদ দ্বারা পূরণ করতে হলে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার পরিবারের আয় বাড়াতে ব্যয় হ্রাস করতে ও অর্থ সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। পরিবারের সদস্যদের সময়, শক্তি, ক্ষমতা, দক্ষতা ও বুদ্ধি ইত্যাদি মানবীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করে পরিবারের আয় বাড়ানো যায়। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার পরিবারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া পরিবারের কাজের দায়িত্ব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হলে গৃহকর্তার সময় ও শক্তি বেঁচে যাবে। সে সময় ও শক্তি তিনি পরিবারের উন্নয়নমূলক কাজে বা অবসর ও কর্তব্যবোধ জন্মায়। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে মানবীয় ও অমানবীয় সম্পদের সুষম বণ্টন হবে। ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।
এক্ষেত্রে তারা বাজেট ও সময় তালিকা করে চললে অল্প সম্পদ দ্বারাই অধিক তৃপ্তি লাভ করতে পারবে। তাই সম্পদের আয়ু বাড়াতে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে বলা যায় যে, গৃহের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও বস্তুগত সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মানবীয় সম্পদের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। মূলত এ সম্পদটিই সর্বক্ষেত্রে সমৃদ্ধি আনে।
প্রশ্ন ২। চার সন্তানের জননী রাবেয়া বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি নিয়ম মাফিক সন্তানদের মাঝে ভাগ করে দেন। সন্তানরা সবাই সন্তুষ্ট। তাদের প্রাপ্ত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান উত্তরোত্তর উন্নতি করতে থাকে। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
ক. সম্পদ কী?
খ. সম্পদের পরস্পর পরিবর্তনশীলতা প্রয়োজন কেন?
গ. রাবেয়া বেগম সন্তানদের মাঝে কোন ধরনের সম্পদ ভাগ করে দেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সন্তানরা যেভাবে নিজেদের অবস্থার উন্নতি সাধন করেছে তা বিশ্লেষণ করো।
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক গৃহ ব্যবস্থাপনার মৌলিক উপকরণ হলো সম্পদ।
খ। সম্পদ পরস্পর পরিবর্তনশীল, সম্পদের পরিবর্তন আমরা কয়েকভাবে করতে পারি। বিকল্প সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারি। যেমন- ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে পারি। আবার একই সম্পদকে বহুবিধ কাজে ব্যবহার করতে পারি। যেমন- খাবার টেবিল-চেয়ারকে পড়াশোনা, আলোচনা, কাপড় ইস্ত্রি করা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করতে পারি।
আবার একটি সম্পদকে অন্য সম্পদে রূপান্তর করতে পারি। যেমন- পুরানো শাড়ি দিয়ে ঘরের পর্দা, শিশুর জামা তৈরি করতে পারি। এতে সম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। একটা সম্পদ ব্যবহার করে অন্য সম্পদ সৃষ্টি করতে পারি। যেমন- জমিতে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করা। এসকল কারণে সম্পদের পরস্পর পরিবর্তনশীলতার প্রয়োজন রয়েছে। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
গ। রাবেয়া বেগম তার সন্তানদের মাঝে বস্তুবাচক সম্পদ ভাগ করে দেন। যে সম্পদ চাহিদা পূরণে সহায়ক তাই অমানবীয় বা বস্তুবাচক সম্পদ। যেমন- টাকা, জমি, বাড়িঘর, অলঙ্কার, রাস্তাঘাট, যোগাযোগব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি। স্কুল-কলেজ, বাজার ইত্যাদি আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক চাহিদা পূরণ করে এবং গৃহ ও সমাজ জীবনকে সহজ করে।
রাবেয়া বেগম তার সন্তানদের মধ্যে বস্তুবাচক সম্পদ ভাগ করে দেন। বস্তুগত সম্পদের মধ্যে অর্থ বা টাকা পয়সা সবচেয়ে মূল্যবান ও কার্যকর সম্পদ। এ সম্পদের বিনিময় মূল্য আছে এবং হস্তান্তরযোগ্য, দুর্লভ ও পরিমাপযোগ্য। অর্থ দ্বারা আমরা দ্রব্য ও সেবাকর্ম ক্রয় করে থাকি। এর সুষ্ঠু ব্যবহার জীবনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দান করে। মূলত পরিবারের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য মানবীয় ও বস্তুগত উভয় সম্পদই সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা হয়। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
সব সম্পদই যেহেতু মূল্যবান তাই এগুলোর ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে রাবেয়া বেগমের সন্তানেরা লক্ষ্যে পৌছাতে পারে। আর এজন্যই তিনি তার সন্তানদের মধ্যে সম্পদের যার যার অংশ একজন আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে ভাগ করে দেন।
ঘ। রাবেয়া বেগমের সন্তানরা সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করে। পারিবারিক জীবনে অর্থকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে তার অসীম চাহিদাগুলো সীমিত অর্থ দ্বারাও পূরণ করা সম্ভব। পারিবারিক সুখ ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য গৃহসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্পদ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই হলো এর ব্যবহার দ্বারা সর্বোচ্চ তৃপ্তি লাভ করা এবং লক্ষ্য অর্জন করা। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
রাবেয়া বেগমের সন্তানেরা তাদের প্রাপ্ত সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করে। তারা বস্তুগত সম্পদগুলোকে স্ব-স্ব মেধা, শক্তি ও যোগ্যতা দ্বারা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে। ফলে তাদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত আয় হয়। আর অতিরিক্ত আয়ের কারণে তারা টাকা সঞ্চয় করার সুযোগ পায়।
এভাবে সঞ্চিত টাকা দ্বারা তাদের ব্যক্তিজীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। অতএব আমরা বলতে পারি, রাবেয়া বেগমের সন্তানেরা বস্তুগত ও অবস্তুগত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটায়। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
প্রশ্ন ৩। আফসারার মা মনে করেন সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনে সহজে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। এছাড়া শক্তি, জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহার দ্বারা মানুষ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও জীবন পরিচালনা করতে পারে। তিনি পরিবারের সকলের সামর্থ্য ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেন যাতে করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
ক. পরিচালনা কী?
খ. স্থানান্তর দ্বারা সম্পদ কীভাবে পরিবর্তন করা যায় ব্যাখ্যা করো।
গ. আফসারার মা কোন সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে সহজে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় বলে মনে করেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আফসারার মা পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে মানবীয় সম্পদের ব্যবহার কীভাবে করেন? বিশ্লেষণ করো।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারকেই পরিচালনা বলা হয়।
খ। সম্পদের উপযোগ স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাড়ানো যায়। যেমন রাজশাহী অঞ্চলে প্রচুর আম উৎপন্ন হয়। এই আম অন্যান্য অঞ্চলে স্থানান্তর করে আমের উপযোগ বাড়ানো যায়। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
গ। আফসারার মা মনে করেন, সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনে সহজে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। সময়কে মানবীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সময় সব মানুষের জন্যই সমান। সবার জন্যই ২৪ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত সময় কেউ কাউকে ধার দিতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তির নিজের। সময় অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। কোনো অবস্থাতেই একে বাড়ানো বা কমানো যায় না। সময় সঞ্চয় করা যায় না। তবে সময়কে কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার ওপর এর মূল্য নির্ভর করে।
যে ব্যক্তি সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাবে জীবনে সে তত বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে। তাই এই সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। যে ব্যক্তি সময়কে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করতে পারবে সে জীবনে সহজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে।
ঘ। আফসারার মা পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে মানবীয় সম্পদ সামর্থ্য ও দক্ষতার যথার্থ ব্যবহার করেন। মানবীয় সম্পদ মানুষের অন্তর্নিহিত গুণ। চর্চা বা অনুশীলনের মাধ্যমে এগুলো বৃদ্ধি করা যায়। প্রত্যেক সদস্যদের সামর্থ্য ও দক্ষতা পরিবারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
পরিবারের সদস্যদের দক্ষতা, সামর্থ্য, পারদর্শিতা, মনোভাব গৃহ ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে এবং বস্তুবাচক সম্পদের অপচয় রোধ করে। পরিবারের সদস্যদের সামর্থ্য ও দক্ষতা যত বেশি সে পরিবার তত উন্নত। তবে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সামর্থ্য ও দক্ষতা একরকম নয়। গৃহ ব্যবস্থাপক যদি সামর্থ্য ও দক্ষতা অনুযায়ী পরিবারের সব কাজ সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন তাহলে কাজের মান ভালো হয়। (নবম-দশম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়)
সদস্যরা নিজ নিজ সামর্থ্য ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুতরাং, আফসারার মা পরিবারের সদস্যদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সঠিক কাজটিই করেন।
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরণের আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।