এইচএসসি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায়: আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে এইচএসসি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করা হবে। কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন শুরু করি।
এইচএসসি গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায়
প্রশ্ন ১। সিনথি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নির্বাচনী পরীক্ষার পর তার মা তাকে সর্বক্ষণ পড়ার টেবিলে বসিয়ে রাখেন। প্রয়োজন ছাড়া তাকে পড়ার টেবিল থেকে উঠতে দেওয়া হয় না। গত দু’মাসে পড়ার টেবিলে বসে থাকতে থাকতে তার অবস্থা এমন হয়েছে যে বই দেখলেই তার বিরক্ত লাগে।
ক. অপারেশন চার্ট কী?
খ. কীভাবে কাজের তালিকা প্রস্তুত করতে হয়?
গ. উদ্দীপকে সিনথির মধ্যে কী ধরনের ক্লান্তি দেখা দিয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সিনথির মধ্যে যে ধরনের ক্লান্তি দেখা দিয়েছে তা কীভাবে দূর করা যায়? এ সম্পর্কে তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক। যে চার্টে সমস্ত প্রক্রিয়ার উপর দৃষ্টি না দিয়ে একটি বিশেষ স্তর বা পর্যায়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় তাকে অপারেশন চার্ট বলে।
খ। যে কাজগুলো করতে হবে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এই তালিকায় বর্তমান ও ভবিষ্যতের কাজগুলো আলাদাভাবে লিখতে হবে। Irma H. Gross and E. W. Crandall-এর মতে কাজের তালিকা হবে দু’ভাবে; যথা- ক. পরিবর্তনীয় কাজ। যেমন: ঘরের দৈনন্দিন কাজ । খ. অপরিবর্তনীয় কাজ। যেমন: স্কুল, কলেজ, অফিসে যাওয়া, ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাজ।
গ। সিনথির মধ্যে বিরক্তি উৎপাদক ক্লান্তি দেখা দিয়েছে। শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও হতাশা, একঘেয়েমি ও মানসিক চাপ ক্লান্তির সৃষ্টি করে। মন যখন অবসন্ন থাকে তখন কোনো কোনো কাজে মানসিক ক্লান্তি আসে।
ব্যক্তিবিশেষে মানসিক ক্লান্তির তারতম্য ঘটে। মানসিক ক্লান্তির একটি বিশেষ দিক হলো একঘেয়েমি বা বিরক্তি উৎপাদক ক্লান্তি। এক্ষেত্রে কাজের প্রতি ব্যক্তির বিরক্তি সৃষ্টি হয়। এ বিরক্তিকরণ অভিজ্ঞতার সময় কাজকে গতিহীন এবং অস্বস্তিকর মনে হয়। এতে কাজ করার সময় কাজের অবনতি ঘটে।
মানসিক ক্লান্তিতে ব্যক্তির কাজ করার ক্ষমতা অবশ্য কমে না বরং কাজের স্পৃহা কমে যায়। সিনথি বিরক্তি উৎপাদক ক্লান্তিতে ভুগছে। তার মা তাকে সর্বক্ষণ পড়ার টেবিলে বসিয়ে রাখেন। খাওয়া, গোসল, ঘুম ও টয়লেট ব্যবহার বাদে পড়ার টেবিল থেকে তার ওঠা নিষেধ।
গত দুই মাস পড়ার টেবিলে এভাবে বসতে বসতে এখন তার পড়ার বই দেখলে বিরক্ত লাগে যা বিরক্তি উৎপাদক ক্লান্তিই নির্দেশ করছে। বিরক্তির কারণেই তার মধ্যে ক্লান্তিবোধ দেখা দিয়েছে ।
ঘ। সিনথির মধ্যে কাজে একঘেয়েমি বা বিরক্তির সৃষ্টি হয়েছে। মানসিক ক্লান্তির একটি প্রকার হলো একঘেয়েমি বা বিরক্তি উৎপাদক ক্লান্তি । এক্ষেত্রে কাজের প্রতি ব্যক্তির বিরক্তির সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ক্লান্তি দূর করার উপায়সমূহ নিচে যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ করা হলো-
১. সিনথিকে প্রথমে বিরক্তির কারণ জেনে বিরক্তি উৎপাদক ক্লান্তি কমাতে হবে। তাকে পড়ায় বৈচিত্র্য ও প্রফুল্লতা আনতে হবে।
২. পড়ার সময় পর্যাপ্ত আলো বাতাস, বই খাতা, উপযুক্ত স্থান, গান শোনা, হাল্কা গল্প বা কথাবার্তা সিনথির ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করবে। ক্লান্তি কাজের পক্ষে ক্ষতিকর। কাজে সফলতা লাভ করার জন্য ক্লান্তি দূর করা প্রয়োজন।
মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিলে কাজ করার আগ্রহ বাড়ে এবং কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই সিনথিকে পড়ার মাঝে বিশ্রাম নিতে হবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরণের আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।